images

সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ।মানুষের আছে সৃজনী শক্তি। জন্মাবার পর থেকেই মানুষ শিখতে শুরু করে। শেখার সময় দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। আমরা প্রত্যেকেই শিখছি দিবা-রাত্রী প্রতি মূহুর্তে। শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে সব সম্ভবের দিকে। আজ যদি প্রশ্ন করা হয় আমরা কী পারি? তবে তার উত্তর হবে “আমরা কী পরিনা”। অদম্য ইচ্ছা আর প্রবল মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। আমরা তার সত্যতা অনেকটাই প্রমান করেছি – বাকীটা প্রমান করতে চলেছি।

বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় পিছু হটতে হটতে যখন আর কোথাও যাবার জায়গা ছিলনা, সম্ভবত তখনই পেছনের দেয়ালের ধাক্কায় সামনে এগুতে শুরু করেছ। আর এজন্য অসংখ্য মানুষের প্রানঢালা ভালবাসা আর স্কুলের প্রতি দ্বায়িত্ববোধের জন্য পিছু হঠা থেকে সামনে চলা শুরু করা হয়েছে।

এ চলার গতি মোটেই শ্লথ নয়- দ্রুত। যারা ভাবেন, যারা চান তাদের প্রিয় বিদ্যাপিঠটি ধীরে ধীরে উঠে দাড়াক তথা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে রূপ নিক- তাদের চাওয়া কখনো ব্যথ হতে পারেনা। বিদ্যালয়টি একটি শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্রে রূপ নেবে।তাদের নিরন্তর সহযোগিতা আকাশ ছোঁয়ার প্রত্যাশা পূরণের অবারিত দার খুলে দিবে।

সকল ভাল কাজে বাধা থাকে- কিন্তু দৃঢ় মনোবল সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে অবশ্যই পৌছাতে পারে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। ২০১৫ বিদ্যালয়ের প্রত্যাশা পূরণের স্বপ্ন দুয়ার খুলেছে। এখন শুধু সামনে এগিয়ে চলা। আমরা বিশ্বাস করি সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ একজোট হলে, সহযোগিতার দ্বার উম্মুক্ত রাখলে অত্র বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হবে।

প্রত্যেক মানুষের কাছেই তার সন্তান প্রানের চেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে বড় সম্পদ। সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয় বিদ্যালয়কে। এ দায়িত্ব পালন করতে বিদ্যালয়কে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। শুধু নিজের নয় প্রতিটি শিক্ষার্থীর মঙ্গলের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে বিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন সবার জন্য সমান। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। চলার পথে ভুল-ক্রটি থাকবে  অবশ্য্ই এসব ক্রটি অভিভাবকগণ সচেতন ভাবেই অবহিত করাবেন। আমাদের সময় দিতে হবে আপনাদের যোগ্য সেবা দানের, সহযোগিতা করতে হবে সব ধরনের।দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন সুসময়ে তারা কাছেই থাকবেন।মানবতার মুক্তির জন্যই শিক্ষা অনিবার্য। দেশের মুক্তির জন্য শিক্ষা অনিবার্য।দেশকে সমৃদ্ধ ও অথনৈতিক মুক্তির জন্যও শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই। দেশ গড়ার কাজে সহযোগিতার উম্মুক্ত পথ শিক্ষা।

২০১৫ সাল এখন বিদ্যালয়ের সবকিছু ডিজিটাল। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের চিন্তায় কিছু ভুল থাকবে, কিছু যান্ত্রিক ক্রুটি থাকবে, অবশ্যই তা সংশোধনের চেষ্ঠাও থাকবে আর প্রত্যাশা থাকবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার।

শিক্ষক-অভিভাবক ভুল বুঝা-বুঝি, মনোমালিন্য, দূরত্ব কখনোই গ্রহণ-যোগ্য নয়। শিক্ষকের কোন ক্রুটি নিশ্চয়ই অনিচ্ছাকৃত। তাই তাদের সাথে আন্তরিকতার সাথে আলোচনা করুন সন্তানের মঙ্গল হবে। কারণ আপনি সন্তানের জন্ম দাতা পিতা আর শিক্ষক জ্ঞান দাতা পিতা। তথ্য প্রযুক্তির মন্দ দিকগুলো অভিভাবকগণ বিশেষ দৃষ্টি দিবেন। আপনার অগোচরেই আপনার সন্তান একটু একটু করে দুরে সরে যাচ্ছে আপনার কাছ থেকে। বয়সন্ধিক্ষনে পিতামাতার চেয়ে বন্ধু-বান্ধবই বেশি প্ররোচিত করে। শিক্ষক এ ব্যাপারে সতর্ক, আপনিও সতর্ক থাকুন। শিক্ষককে আপনার বন্ধু সহযোদ্ধা হিসাবে সহযোগিতা করুন। আপনার সন্তানের উন্নতিই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসন ও পর্ষদের একমাত্র কাম্য। আকাঙ্খা পূরণ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলের মঙ্গল করুন।

মোঃ আহসান হাবীব।

সভাপতি,

বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়,হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।